কী মানুষ বানাইলা ভবে জানে না কাল কী হবে তবু ভাবে সারাক্ষণ রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন আজীবন বাচবে কত কিছু করবে বাড়ি নারী আহা কতদেশ ঘুরবে কত রাত জেগে তারা কতকিছু ভাববে প্রাণ পাখি উড়ে গেলে দেহখানা পচবে একদিন বুঝবে সেই বুঝে লাভ নাই মারা গেলে মানুষের ছিটেফোঁটা দাম নাই গাড়ি বাড়ি পরে রবে থাকবে না মহাজন এইটাই জীবনের চির চেনা আচরণ কেন এত চিন্তা এটা চাই ওটা চাই কেন এত টেনশন এটা নাই ওটা নাই পৃথিবীর সম্পদ পৃথিবীতে পরে রয় গত হয়ে যায় সব দুদিনের পরিচয় মাটির দেহ ফের মাটি হয়ে যায় তারে হাঁ করে গিলে খায় কবরের গ্রাস সেতো নিছক এক দাস জানে না কী হবে কাল বদলায় সব কিছু সকাল বিকাল কী মানুষ বানাইলা ভবে জানেনা কাল কী হবে তবু ভাবে সারাক্ষণ রে দয়াল যেন সে বাচবে আজীবন রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন দুনিয়া দুই দিন সময়টা অল্প এখানে জমা হয় জীবনের গল্প জমিদারি বাহাদুরি ক্ষণিকের মঞ্চে টাকা পেয়ে ভুলে যাই শেকড়ের শিল্প সুখী হতে চায় মন সুখ কী জানে না গুলশানে বাড়ি তাই আর কিছু লাগে না দামি গাড়ি নারী পেয়ে হতাশায় মারা যায় খ্যাতি ছাড়া মানুষেরা আর কিছু চিনে না দূর থেকে মনে হয় সুন্দর সবকিছু ছুটি তাই পিছু পিছু একাকার দিনরাত ভাটির পানিরা কয় হায়রে মানব জাত বাহিরটা পরিপাটি ভেতরে সদর ঘাট আমাদের চোখ আছে তবু কিছু দেখি না প্রকৃতির কাছ থেকে মোরা কিছু শিখি না জীবনটা ক্ষণিকের বেমালুম ভুলে যাই সুখি হতে গিয়ে মোরা হতাশায় ডুবে যাই কী মানুষ বানাইলা ভবে জানেনা কাল কী হবে তবু ভাবে সারাক্ষণ রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন কী মানুষ বানাইলা ভবে জানেনা কাল কী হবে তবু ভাবে সারাক্ষণ রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন রে দয়াল যেন সে বাঁচবে আজীবন