রাবেয়া কি রুকসানা ঠিকতো মনে পড়েনা আস্থির এ ভাবনা শুধু করে আনাগোনা ফেলে আসা দিন তার মিছে মনে হয় নামে কি বা আসে যায়? সোহাগে আদরে জানি রেখেছিল কেউ এই নাম আব্বা না আপা নাকি কারো মনে পরে তা কি তোমরা তা জানো নাকি? সময় দিয়েছে ফাঁকি অভিমানে সে মেয়েটি গেছে হারিয়ে বুকে ভরসা নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে সে এসেছিল ছেড়ে তাঁর গ্রাম জানি সে কোথায় এই শহরের কোন বাগানে সে হয়ে আছে ফুল প্রতি সন্ধ্যায় পাপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল সেই মেয়েটির মত আরেকটি মেয়ে সে তো সন্ধ্যাপ্রদীপ দিতো, যত্নে গান শোনাতো হালকা পায়ে বেড়াতো বেণী দুলিয়ে কে যে নিল ভুলিয়ে খেলার সাথীরা তাঁর খুঁজতে আসেনা আর রোজ লক্ষ্মী নামের মেয়ে আজও তার পথ চেয়ে ফেলে আসা তাঁর গাঁয়ে, মা কাঁদে মুখ লুকিয়ে সন্ধেবেলায় শাঁখ বাজে নাতো আর এতে আছে কী বলার? আজও কেউ জানেনা তো কোথায় সে হয়েছে নিখোঁজ জানি সে কোথায় এই শহরের কোনও বাগানে সে হয়ে আছে ফুল প্রতি সন্ধ্যায় পাপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল লক্ষ্মী, রুকসানারা, আরও যত ঘরছাড়া ত্রস্ত দিশেহারা তখনই জাদুকরেরা নিমেষে বানিয়ে দেয় বাগানের ফুল ঠিক নির্ভুল এভাবে মেয়েরা সব একে একে ফুল হয়ে যায় নতুন বাগানে এসে নিজেকে না ভালবেসে ফুলের দলেরা শেষে কথা বলে হেসে হেসে পদ্ম, গোলাপ, জুঁই, চম্পা, চামেলি ফুল টগর, শেফালী পোড়ারমুখীরা তোরা ফুল হয়ে রয়ে গেলি হায় জানি সে কোথায় এই শহরের কোনও বাগানে সে হয়ে আছে ফুল প্রতি সন্ধ্যায় পাপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল জানি সে কোথায় এই শহরের কোনও বাগানে সে হয়ে আছে ফুল প্রতি সন্ধ্যায় পাপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল জানি সে কোথায় এই শহরের কোনও বাগানে সে হয়ে আছে ফুল প্রতি সন্ধ্যায় পাপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল