দোসরা মার্চ, ১৯৩০ প্রবাসযাত্রী কবির পত্রে আজ চলেছি রেলগাড়িতে চড়ে মাদ্রাজের দিকে একটা ভারী গোছের নীল মলাটওয়ালা বই এনেছিলুম সে আর খোলা হলো না জানালার বাইরে আমার দুই চোখের অভিসার আর থামে না জানলা দিয়ে এই ফাল্গুনের রৌদ্রে যখন একটি অভাবনীয় মাধুরীর মূর্তি দেখি তখন নিশ্চিত জানি সেটা দেখতে দেখতে মিলিয়ে যাবে মনকে জিজ্ঞাসা করি, এই উপলব্ধিটা কি একেবারেই মায়া? মন তো তা স্বীকার করে না যা দেখেছি সে তো একলা আমারই আনন্দের দেখা নয় যারা এতকাল দেখেছে এবং চিরকাল দেখবে তাদেরই দেখাকে সংগ্রহ করে নিয়ে গেলুম সেই সঙ্গে একটা কবিতাও লেখা গেল সেই কবিতাই রূপ নিল গানের, কবির গভীর সুরে