খুব অনুভূতি প্রবণ একজন মানুষ সাধারণত জীবনের কঠিনতম বাগের কখনো বা সংযম হারিয়ে ফেলে জীবন খাতায় চাল ছিদ্রের তখন দেখা দেয় উদাসীনতার স্বাভাবিক প্রতিফলন ♪ ব্যতিক্রমী জীবন কাব্যে জীবন যুদ্ধের নায়ক কখনোই হার মানতে রাজি নন তার অন্তর্দৃষ্টির অনুপ্রাশের জীবনের জটিল অধ্যায় হয়ে উঠে নবোতর সৃষ্টির প্রসক মুহূর্ত এমনটি বারবার ঘটেছে রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ ৮০ বছরে জীবন পরিক্রমায় মনে পড়ে এলাহাবাদের একটি ঘটনার কথা ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসের রবীন্দ্রনাথ সপ্তা তিনেকের জন্য ছিলেন এলাহাবাদের ভাগ্নেও সত্য প্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় জামাতা পেয়ারে লাল গঙ্গোপাধ্যায় এর বাগান ঘেরা বাড়িতে মৈত্রী দেব লিখেছেন মনে পড়ে কবি একদিন একটি ছোট মেয়েকে ছবি কবিতাটি বুঝাচ্ছিলেন হঠাৎ বললেন একবার এলাহাবাদে সত্যর ঘরে পুরনো জিনিসপত্রের মধ্যে ছবিখানি পেলুম হঠাৎ ছবিখানা দেখে মনে হল কি আশ্চর্য এ কিছুদিন আগেও যে আমাদের মাঝে পূর্ণ সত্য হয়ে জীবনে এতখানি হয়েছিল আজ সে কত দূরে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের জীবন ছুটে চলেছে কিন্তু সে থেমে গেছে ওইখানে কতটুকুই বা তাকে মনে পড়ে আসলে তুমি আমার জীবনের মধ্যে অত্যন্ত বেশি হয়ে আছো বলেই সর্বদা তোমাকে মনে করতে হয় না কিন্তু জীবনের মোরে তুমি আছো বলেই তুমি একদিন এসেছিলে বলে আমার ভুবন এত আনন্দময় আমার জীবনে এতো মাধুর্য প্রশান্ত চন্দ্র মহলানো অভিষেকের মতে এই ছবি যতীন্দ্রনাথের পত্নী কবির নতুন বৌঠানে ক্ষিতি মোহন সেন ও চারু বন্দ্যোপাধ্যায় এর আবার অন্য মত এই ছবি ম্রিলালিনি দেবীর ছবির চরিত্রে যেনি থাকুক সে ছবি জীবন্ত হয়ে উঠল বলাকা কাব্যগ্রন্থে তুমি কি কেবলই ছবি শুধু পটে লেখা ওই যে শুধুর নীহারিকা যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড় ওই যারা দিনরাত্রি আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি তুমি কি তাদের মত সত্য নও হায় ছবি তুমি শুধু ছবি চির চঞ্চল এর মাঝি তুমি কেন শান্ত হয়ে রও পথিকের সংঘ লও ওগো পথহীন কেনো রাত্রি দিন সকলের মাঝে থেকে সভা হতে আছো এত দূরে স্থিরতার চির অন্তকপুরে নয়নও সম্মুখে তুমি নাই নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই আজি তাই শ্যামল শ্যামল তুমি নীলিমায় নীল আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল নাহি জানি কেহ নাহি জানে তব সুর বাজে মোর গানে কবির অন্তরে তুমি কবি নও ছবি নও ছবি নও শুধু ছবি তোমারে পেয়েছি কোন প্রাথে তারপরে হারিয়েছি রাতে তারপরে অন্ধকারে অগোচরে তোমারি লভি নও ছবি নও তুমি ছবি